বাজারে সাদা, লাল, সবুজ, নীলসহ আরও বহু কালারের এলইডি পাওয়া যায়। আজকাল কমবেশি সবাই ইলেক্ট্রনিক্সের ছোট ছোট প্রজেক্টে এই এলইডি ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু মজার ব্যাপার, এইসব ভিন্ন ভিন্ন কালারের এলইডি কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন ভোল্টেজে জ্বলে উঠে। এই যেমন সাদা এলইডি ২.৯০-৩.৩০ ভোল্টেজ পেলেই জ্বলে উঠবে। আবার সবচেয়ে কম ভোল্টেজ লাগে লাল এলইডি জ্বালাতে। আবার মজার ব্যাপার আমরা যদি নয় ভোল্টের একটা ব্যাটারির সার্কিটে এলইডি সিরিজে যোগ করে যে কয়টি জ্বালাতে পারবো ঠিক অপরদিকে এলইডি যদি প্যারারালে যোগ করি তাহলে ঐ নয় ভোল্টের ব্যাটারি দিয়েই দুই/তিনগুন বেশি এলইডি জ্বালানো সম্ভব।

এগুলি আসলে ইলেক্ট্রনিকের খুব বেসিক জিনিস যা আমি আমার ভার্সিটি লাইফের ১ম/২য় বর্ষে শিখেছি। শেষ বর্ষে এসেও এখনও শিখেই যাচ্ছি। আমরা যারা ৯০ এর দশকের ছেলেমেয়ে তাদের শৈশবটা ছিল শক্তিমান, সিন্দাবাদ, আলিফ লায়লার মালিকা হামিরা কিংবা প্রতি শুক্রবারের দুপুর তিনটার বিটিভির বাংলা ছবির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এখনকার মতো এমন ইন্টারনেটও ছিলনা আবার ফেসবুকও ছিলনা। আমার শৈশব কেটেছে দিনাজপুরে, তাই প্রযুক্তি বলতে বাসায় সাদাকালো/রঙ্গিন টেলিভিশন অথবা সনির ক্যাসেট প্লেয়ার। বিকেলবেলা নিয়মিত খেলাধুলা,আর এর-ওর গাছের কামরাঙা, পেয়ারা, জামরুল খেয়েই দিন চলে যেত। স্কুল যেতাম, ক্লাসের পড়া করা, খাওয়াদাওয়া, খেলাধুলা আর ঘুম। এটাই ছিল শৈশবের রুটিন। আসলে আমাদের কোন বড় ভাই ছিল না যে আমাদেরকে খেলার ছলে কারেন্ট-ভোল্টেজ বুঝাবে। আবার বাসার ফ্যানটা কিভাবে চলতেছে সেটা বুঝানোরও কেউ ছিলনা। আসলে এসব প্রশ্ন আমাদের মাথাতেই আসেনি। আমরা তো পড়ে ছিলাম ইনজামাম আর রোনালদো, রিভালদোদের নিয়ে।

চোখের সামনেই প্রযুক্তির পরিবর্তন দেখলাম। আজকে তো গুগল ভাইয়ের সহায়তায় যেকোনো কিছু জানা যায়, ঘরে বসেই নানা বিষয়ে পড়াশুনা করে ডিগ্রি নেয়া যায়। তোমরা যারা ৬/৭ এ পড় তারা আমাদের সময়ের চেয়ে অনেক এডভান্স। আমি যেটা ভার্সিটিতে এসে শিখেছি সেটা হয়ত তোমরা এই বয়সেই শিখে ফেলতছ। আমরা বিজ্ঞানাগার মানে একটা মাইক্রোস্কোপকেই বুঝতাম কিন্তু তোমরা এতটা সৌভাগ্যবান যে বাবিজসের মতো কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংঘঠন তোমাদের বড় ভাইয়ের অভাবটা পূরণ করতেছে। এখন তোমরা যদি এই সুযোগটা না নাও তাহলে খুব দুঃখজনক। বিজ্ঞান পরতেছ কিন্তু বেসিক সূত্রগুলি জানোনা, কারেন্ট আর ভোল্টেজের পার্থক্য বুঝোনা তাহলে তো বিজ্ঞান পড়াই বৃথা। বাবিজস বিশ্বাস করে বিজ্ঞান শুধু বইয়ে পড়ার বিষয় নয়, সত্যিকার বিজ্ঞান হল নিজের হাতে পরীক্ষা করে দেখা। কিন্তু স্কুলে বিজ্ঞানাগার না থাকায় বা সুযোগ না পাওয়ায় অনেক সময়ই এখনও তোমরা বিজ্ঞানকে দৈববাণীর মতই পড়তে থাকো। যেটা আমরা শৈশবে পড়ে এসেছি। তাই তোমাদের বিজ্ঞানাগারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে, ভবিষ্যৎ মাকসুদুল আলমদের বিজ্ঞান বোঝার চেষ্টাকে সহযোগিতা করতেই বাবিজসের মাকসুদুল আলম বিজ্ঞানাগার (ম্যাসল্যাব)-এর সৃষ্টি। ল্যাবে আসো, ব্যবহারিক বিজ্ঞানের হাতেখড়ি নিয়ে যাও।

৭ম থেকে ১০ম শ্রেণীর জন্য ম্যাসল্যাবে এই রমজানে কোর্স চালু করা হয়েছে। যে কেউ জয়েন করতে পারো।

কোর্সের বিস্তারিত: https://spsb.org/maslab/courses/beginners1/

কোর্স সিলেবাস: https://spsb.org/maslab/courses/beginners1/syllabus/

রেজিস্ট্রেশন ফর্ম: https://spsb.org/maslab/courses/beginners1/registration/

ফেইসবুক ইভেন্ট: https://www.facebook.com/events/284961671842554/