আমাদের 21 শতাব্দী এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কী ? প্রশ্নের উত্তরটা একেক ব্যক্তির কাছে একেক রকম হবে, কারো কাছে মোবাইল, তো কারো কাছে কম্পিউটার, কেউ বলবে আবার কৃত্রিম উপগ্রহের কথা | কিন্তু এত কিছুর মাঝেও কম্পিউটার অবদানটা মনে হয় এটু বেশীই বটে |
তেমনি, আমাদের পদার্থবিজ্ঞানীদের সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠেছে কম্পিউটার | মূলত তাদের চিন্তাটা হচ্ছে কোয়ান্টাম কম্পিউটার এর কর্মশক্তি সুদক্ষতা নিয়ে |
কোয়ান্টাম কম্পিউটার এর কর্মশক্তি সুদক্ষতা নিয়ে জানার আগে আমাদের জানতে হবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার কী | সহজ কথায় যদি বলি কোয়ান্টাম কম্পিউটার হল এমন একটা কম্পিউটার যেটা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বিভিন্ন ধর্মকে সরাসরি কাজে লাগিয়ে সব কাজ করে।
এখন, আমাদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, আমাদের ব্যবহৃত কম্পিউটার এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটার এর মধ্যে পার্থক্যটা কী এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটার কী সাধারন কম্পিউটার থেকে বেশী ক্ষমতাশালী | উত্তরটা – হ্যাঁ | কারণ কোয়ান্টাম কম্পিউটারে এমন অনেক কাজ করা যায় যেগুলো সাধারণ কম্পিউটারে করা যায় না | এই যেমন – রাসায়নিক বিক্রিয়া সিমুলেট করা, পলিনমিয়াল টাইমে প্রাইম ফ্যাক্টরাইজেশন বা লিনিয়ার সার্চের কমপ্লিক্সিটি স্কয়ার রুট এ নামিয়ে নিয়ে আসা ইত্যাদি |
কিন্তু পরীক্ষা লব্ধ তথ্য থেকে দেখা যায় যে, নিম্ন তাপমাএায় বড় মাএার গণনা কারি কোয়ান্টাম কম্পিউটার পরিচালনার ফলে কর্মশক্তি কম খরচ হলেও, ক্ষতিকর তাপ পরিবহন করার ব্যবস্থাপনা গুলো সঠিক ভাবে বন্টন করা সম্ভব হচ্ছে না এবং এর ফলে তাপ পরিবহন মধ্যমগুলো যেমন – কেবল, রোধ এবং এই জাতীয় উপাদান গুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে |
প্রথাগত ভাবেই প্রথম যে প্রশ্নটা তৈরি হচ্ছে, সর্বনিম্ন তাপমাএা কতটুকু এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে কোয়ান্টাম কম্পিউটার পরিচালনা সহজতর হবে |
এর বিজ্ঞানীরা – “the greatest lower bound for the gate error induced by a single application of bosonic drive mode of given energy” – এর সহায়তা নেন | এই পদ্ধতিতে পূর্বে ভুলের মাএা বিবেচনা করা হতো মোট চালনা শক্তির ব্যস্তানুপাতিক হারে |
তবে তাদের এই গবেষণা শেষে দেখা যায় যে – “the greatest lower bound for the error of a single – qubit gate” সূত্র এখন – “a single resonant control mode of a given mean” – তেও বাস্তবায়িত করা সম্ভব এবং এর জন্য তারা – “Gate error in the Jaynes – Cumming model ” ব্যবহার করেন |
( লেখক মৃন্ময়ী হোসেন মুকিত, মেকানিক্যাল, আহসানউল্লাহ্ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)