আন্তর্জাতিক আলোক দিবস ২০২০

বাংলা  ।  English

আন্তর্জাতিক আলোক দিবস কী?

আলো ও সর্বক্ষেত্রে আলোর প্রায়োগিক দিক নিয়ে আয়োজিত একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ এই আন্তর্জাতিক আলোক দিবস। বিজ্ঞান, শিল্প, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন থেকে শুরু করে চিকিৎসাশাস্ত্র, যোগাযোগ এমনকি শক্তির উৎস হিসাবে আলোর ভূমিকা ও এর বহুমুখী প্রয়োগ অনুধাবন ও মূল্যায়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী এর আয়োজন করা হচ্ছে। এ উদ্যোগের বিশাল পরিসর সমাজের বিভিন্ন অংশকে একসঙ্গে এসে কাজ করার সুযোগ করে দেবে। এই কর্মযজ্ঞ একই সাথে ইউনেস্কোর “শিক্ষা, সমতা ও শান্তি” অর্জনের লক্ষ্যে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং শিল্প-সংস্কৃতির একইসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

কারা এর আয়োজন করছে?

আন্তর্জাতিক আলোক দিবস আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল বেসিক সায়েন্স প্রোগ্রাম বা আইবিএসপি। এই আয়োজনের পরিচালনা কমিটিতে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা যেমন রয়েছেন, তেমনি আছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সহযোগী সংগঠনগুলোর সদস্যবৃন্দ। প্রতিটি দেশের একটি করে সহযোগী সংগঠন ন্যাশনাল নোড হিসেবে কাজ করে। ওই সংগঠন মূলত সংশ্লিষ্ট দেশের সকল আয়োজন সমন্বয় করে। বাংলাদেশের ন্যাশনাল নোড হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি)। এসপিএসবির প্রতিনিধি হিসেবে কাজটি সমন্বয় করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মুনির হাসান।

আন্তর্জাতিক আলোক দিবস কবে পালিত হবে?

২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর ১৬ মে এই দিবসটি পালিত হবে। ১৯৬০ সালের এই দিনে প্রথমবার পরীক্ষাগারে পদার্থবিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী থিওডর মাইমান সফলভাবে লেজার রশ্মি তৈরি করতে সক্ষম হন। কিভাবে একটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার যোগাযোগ, চিকিৎসা ও অন্য অনেক ক্ষেত্রে একই সঙ্গে বিপ্লব ঘটিয়ে দিতে পারে, লেজার তার একটি চমৎকার উদাহরন। যদিও আন্তর্জাতিক আলোক দিবসের মূল সুর শুধুই বিজ্ঞান নয় বরং শিল্প-সংস্কৃতি এবং উন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রে সাধারন অর্থে আলোর প্রয়োগ নিয়েই আলোক দিবস কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

আন্তর্জাতিক আলোক দিবস ২০২০ কীভাবে উদযাপিত হবে?

আগামী ১৬ মে ২০২০ তারিখ ইউনেস্কো বিশ্বজুড়ে অনলাইনে পালন করছে আন্তর্জাতিক আলোক দিবস ২০২০। একইসঙ্গে এই দিবসকে সামনে রেখে বিভিন্ন দেশে স্থানীয়ভাবে অনলাইনে আয়োজিত হচ্ছে শতশত অনুষ্ঠান। প্রতি বছর আমরা এই দিনটি উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে পালন করি। ইতোপূর্বে ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক আলোক বছর এবং ২০১৮ সাল থেকে আলোক দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে আমরা আলো বিষয়ক বক্তৃতা আলোর কথামালা, হাতে-কলমে আলোকে বোঝার কর্মশালা, আলোক প্রযুক্তির প্রদশনী, ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা, স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ, আলোর দ্যুতি, আলোর ঝিলিক, আলোর গান নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি আয়োজন করেছি।

আগের আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা দিবসটি যথাসাধ্য সুন্দরভাবে আয়োজন করতে চাই। কিন্তু কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমরা আয়োজনগুলো বিভিন্ন বিদ্যালয়ে, প্রদর্শনীকক্ষে বা হলরুমে আয়োজন করতে পারছি না। তবে সবকিছুর মত এই আয়োজনেও আমরা উদ্ভাবনী শক্তি ব্যবহার করতে চাই। এবার তাই আমরা দিবসটি এমনভাবে পালন করবো যাতে সকলে ঘরে বসেই অংশ নিতে পারে সব আয়োজনে, নিরাপদে থেকেই অনুধাবন করতে পারে আমাদের জীবনে আলো ও আলোক প্রযুক্তির ভূমিকা। বিস্তারিত: spsb.org/idl2020

আলোক দিবসের প্রধান যত বিষয়

ফোটোনিকস

বিজ্ঞানের ধারনা ও প্রযুক্তির উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু আলো। শত শত বছর ধরে আলো আর তার বৈশিষ্টসমূহ বিজ্ঞানের জগতে তোলপাড় তুলে এসেছে। ইবনে আল হাইথাম থেকে আইনস্টাইন পর্যন্ত সকলেই আলো নিয়ে কাজ করে গেছেন।

গামা রশ্মি থেকে রেডিও তরঙ্গ, আলোকবর্ণালী আমাদের সামনে তুলে ধরেছে বিশ্বের সৃষ্টিরহস্য থেকে আজকের পৃথিবী বদলে দেয়া প্রযুক্তি পর্যন্ত। ন্যানোফোটোনিক কিংবা কোয়ান্টাম অপটিকসের উচ্চতর গবেষণা মেলে ধরেছে নতুন সব আবিষ্কারের সুযোগ আর বিজ্ঞানের নতুন নতুন শাখা।

আলোকভিত্তিক প্রযুক্তি আর ফোটোনিকস সরাসরি মানবজাতির কাজে লাগছে, দিচ্ছে তথ্যভান্ডারে অবাধ প্রবেশাধিকার, টেকসই উন্নয়ন ও উচ্চতর জীবনমান।

ফোটোনিকস ভিত্তিক শিল্পগুলো হয়ে উঠছে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। উন্নততর ঔষধ, কার্যকর যোগাযোগব্যবস্থা ও শক্তি উৎপাদনে ফোটোনিকসের ব্যবহার  সমাজে নিয়ে আসছে ইতিবাচক পরিবর্তন।

দৃষ্টিশক্তি উন্নয়নের প্রযুক্তি থেকে হাতের স্মার্টফোনটি, মহাকাশ পর্যবেক্ষন প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ইন্টারনেট বিপ্লবের ফাইবার অপটিক কেবল – ফোটোনিকসের ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যেন সর্বব্যাপী।

আলো ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা

আলোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত প্রয়োগ সমাজের সমাজের উন্নয়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। ক্রমবর্ধনমান সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার্থে এর প্রয়োজনীয়তাও অসীম। বিশ্বের শক্তি উৎপাদন, টেকসই উন্নয়ন এবং জনস্বাস্থ্য সংরক্ষনে ফোটোনিকস ব্যবহারিক ও সাশ্রয়ী সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয়। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তথা “দারিদ্র দূরীকরন, অসাম্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলার লক্ষ্যে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহন” অর্জনের সংগ্রামেও ফোটোনিকস এক অন্যতম হাতিয়ার।

ফোটোনিকস বিশ্বের নাগরিকদের ইন্টারনেট ও অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্ত রাখে। ব্যবসা ও শিক্ষার এক অপরিহার্য অংশ হয়ে পড়েছে এখন ফোটোনিকস। এই নেটওয়ার্ক জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে ন্যায়বিচার, শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা তথা শান্তি নিশ্চিত করে। আলোকপ্রযুক্তি চিকিৎসা ব্যবস্থার অন্যতম চাবিকাঠি। রোগনির্নয় থেকে শুরু করে উন্নত রোগনিরাময় প্রক্রিয়া ও গবেষণা, সবকিছুতেই রয়েছে আলোকপ্রযুক্তির বিবিধ ব্যবহার। রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি জন্ম দেয় টেকসই কৃষিব্যবস্থার, যা বিশ্বের ক্ষুধা নিবারনের অন্যমত হাতিয়ার। একই সাথে টেকসই কৃষিব্যবস্থা জলাশয় ও সাগরের জীববৈচিত্র্য রক্ষার অন্যতম নিয়ামক। আধুনিক আলোকব্যবস্থা জীবনযাত্রার মানোয়ন্নে কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব সমাধান দিতে পারে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মনিটর করা ও এর প্রভাব অনুমান করার জন্য আলোক ভিত্তিক কার্যকর সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষা

আলো একটি অনুপ্রেরণামূলক বিষয় হওয়ায় তরুণদের বিজ্ঞান শিক্ষায় উৎসাহিত করার উৎকৃষ্ট উপায়। বিশ্বব্যাপী শিশুদের উদ্দ্যেশ্যে করা আলোক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা কর্মসূচি, লিঙ্গ বৈষম্যজনিত সমস্যা তুলে ধরে এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশকে কেন্দ্র করে শিক্ষা্র সুযোগ গড়ে তোলে।

উদ্ভাবন ও উদ্যোগ

বিজ্ঞান ও আলোর বহুবিধ প্রয়োগ স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় উদ্ভাবনের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে আসছে, এমনকি সংকটপূর্ণ পরিবেশেও। আলো ও এ সম্পর্কিত জ্ঞান ও শিক্ষা নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী করার পাশাপাশি তাদের উদ্যোক্তা হয়ে ওঠারও প্রেরণা দেয়।

সংস্কৃতি

আলো মানুষের সংস্কৃতিতে যুগ যুগ ধরে প্রভাব ফেলে আসছে, এবং এখনও ফেলছে। আলো ও সংস্কৃতির যোগসূত্রকে ইসলামের স্বর্নযুগ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত স্টাডি করলে বিজ্ঞান, শিল্প ও মানবিকতার মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন আলোয় চেনার এবং আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ভালভাবে বোঝার ও জানার সুযোগ হয়ে ওঠে।

আলো সবসময়ই শিল্প-সাহিত্য ও মানুষের চিন্তাধারায় বড় ভূমিকা রেখে এসেছে। আলোর এই থিম তাই বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে এক সেতুবন্ধন তৈরির মাধ্যমে এই দুই জগতের মধ্যকার অদৃশ্য দেয়াল ভেঙে দেয়ায় অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

 

আলোক দিবসের আয়োজন

বিশ্বব্যাপী আলোক দিবস উদযাপিত হচ্ছে। অর্ধশতাধিক দেশে কয়েক শত আয়োজনের মাধ্যমে মানব জীবনে আলো ও আলোক প্রযুক্তির অবদানকে উদযাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সমন্বয়ে আয়োজিত হচ্ছে নানান অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশে যত আয়োজন

বাংলাদেশের আলোক দিবসের কার্যক্রমের সমন্বয়ক হিসেবে দিবসটি এসপিএসবি নানা আয়োজনে পালন করছে। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সব আয়োজনেই কিছু পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। এই কারণে বাংলাদেশের আয়োজনেও পরিবর্তন আসছে। এবছর সবকিছুই আয়োজিত হবে অনলাইনে, যাতে সবাই বাসায় বসেই অংশ নিতে পারে। এবারের আয়োজনগুলোর মধ্যে রয়েছে,

  • অনলাইনে আলো ও আলোক প্রযুক্তি সম্পর্কে বক্তৃতা “আলোর কথামালা”
  • আলো ও আলোকতত্ত্ব বিষয়ে অনলাইন কুইজ
  • আলো বিষয়ক ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা
  • আলো নিয়ে এক্সপেরিমেন্টের ভিডিও কম্পিটিশন
  • আলো সংক্রান্ত এক্সপেরিমেন্টের ভিডিও প্রকাশ
  • আলো বিষয়ে বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতিমূলক একটি ই-অলিম্পিয়াড ইত্যাদি।

এসব আয়োজনের বিস্তারিত জানা যাবে এসপিএসবির ওয়েবসাইট (spsb.org/idl2020) ও ফেসবুকে (fb.com/SPSBZone)।

ফেসবুক ইভেন্টে প্রবেশ করতে এখানে ক্লিক করুন

 

 বাংলাদেশের আলোর আয়োজন সমূহ

 

  1. আলো ও আলোক প্রযুক্তি কুইজ।

স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন শিক্ষার্থী এই কুইজে অংশ নিতে পারবে। কুইজে অংশ নেওয়ার জন্য নির্ধারিত লিংকে https://bit.ly/IDLQuiz গিয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করতে হবে। ১১ মে ২০২০ থেকে ১৬ মে ২০২০ রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য হতে বিজয়ী নির্বাচিন করা হবে। বিজয়ীদের জন্য থাকবে সার্টিফিকেট ও আকর্ষণীয় পুরস্কার।

  1. Tales of LIght | আলোর গল্প।

আন্তর্জাতিক আলোক দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষ্যে অনলাইনে আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন “আলোর গল্প (Tales of Light)”। এই প্রতিযোগিতায় আলো বা আলোর ভূমিকা বোঝা যায় এমন যে কোনো ছবি জমা দিয়ে যে কেউ এতে অংশ নিতে পারবে। ১২ মে ২০২০ থেকে ১৬ মে ২০২০ পর্যন্ত এই লিংকে ছবি জমা দিতে হবে। একবারে সর্বোচ্চ একটি ছবি জমা দেওয়া যাবে। জমা দেয়া ছবিগুলো এসপিএসবির ফেসবুক পেইজ (facebook.com/SPSBZone) আপলোড করা হবে। এই সময়ের মধ্যে যে ছবিতে সবচেয়ে বেশি লাইক/রিয়্যাকশন পড়বে, সেই ছবি পপুলার চয়েজ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হবে। বিজয়ী ছবির জন্য থাকবে সার্টিফিকেট ও আকর্ষণীয় পুরস্কার।

  1. আলো নিয়ে সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট ভিডিও

সায়েন্স এক্সপেরিমেন্টের ভিডিও-র এই প্রতিযোগিতাও সবার জন্য উন্মুক্ত। এই প্রতিযোগিতায় বাসায় বসে আলো নিয়ে কোন একটি এক্সপেরিমেন্ট করতে হবে। এক্সপেরিমেন্টটি ভিডিও করে আমাদের কাছে জমা দিতে হবে এই লিংকে । জমা দেয়া ভিডিওগুলো এসপিএসবির ফেসবুক পেইজ (facebook.com/SPSBZone) ও ইউটিউবে আপলোড করা হবে। ভিডিওগুলোর ভিউ-এর সংখ্যা, রিঅ্যাকশনের সংখ্যা ইত্যাদি বিবেচনা করে পপুলার চয়েজ ক্যাটাগরির পুরস্কার নির্ধারণ করা হবে।

  1. কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে ড. ওমর শেহাবের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং কী, কীভাবে কাজ করে, ভবিষ্যৎ কী, এমন নানা প্রশ্নের উত্তর দিবেন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর গবেষক: ড. ওমর শেহাব। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আইবিএম থমাস জে ওয়াটসন রিসার্চ সেন্টারে তত্ত্বীয় কোয়ান্টাম কম্পিউটার বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত আছেন। বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির ফেসবুক পেইজে আগামী ১৬ মে ২০২০ তারিখ, দুপুর ১২ টায় সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বটি সম্প্রচার করা হবে।

  1. আলোর কথামালা : দেখা আলোর অদেখা ভুবন

আলো নিয়ে জনপ্রিয় বিজ্ঞান বক্তৃতা হচ্ছে আলোর কথামালা। এবছর আলোর কথামালার ৩টি পর্ব আয়োজন করা হবে। আলোর কথামালার ১ম পর্বটির নামকরণ করা হয়েছে “দেখা আলোর অদেখা ভুবন”। আলোর সম্ভাবনাময়, কিন্তু অদেখা এই ভুবন নিয়েই এই আলোচনা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাইনুল হোসেন। আলোর কথামালার ২য় পর্বটির নামকরণ করা হয়েছে “নীল আলোর সন্ধানে”। এতে আলোচনা করবেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী।
এছাড়াও আলোর কথামালার ৩য় পর্বটিতে আলোচনা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আরশাদ মোমেন চৌধুরী। সবগুলো বক্তৃতাই বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির ফেসবুক পেইজে আগামী ১৬ মে ২০২০ তারিখে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে

  1. আলোকতত্ত্বের উপর একটি বিশেষ ই-অলিম্পিয়াড।

আন্তর্জাতিক আলোক দিবস ২০২০-কে সামনে রেখে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী ১৬ মে ২০২০, শনিবার, সকাল ১১:০০ টা থেকে দুপুর ১২:০০ টা পর্যন্ত আয়োজন করা হচ্ছে আলোকতত্ত্বের উপর একটি বিশেষ ই-অলিম্পিয়াড। ১৫ মে ২০২০, শুক্রবার, রাত ১০:৫৯ মিনিটের মধ্যে অনলাইনে এই লিংকে https://forms.gle/qyycXtaUcJQ3fmo89 নিবন্ধন করতে হবে। ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণী শিক্ষার্থীরা জুনিয়র ক্যাটাগরি ও ৯ম-১১শ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত হয়ে এই ই-অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে পারবে। ই-অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের জন্য থাকবে সার্টিফিকেট ও আকর্ষণীয় পুরস্কার।

 

স্পন্সরশিপ/পৃষ্ঠপোষকতার সুযোগ

বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি) শতভাগ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করতে, শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করতে এই সংগঠন বছরব্যাপী নানা কাজ করে যাচ্ছে। অন্যান্য আয়োজনের মত এই আয়োজনটিতেও এসপিএসবির স্পন্সর/পৃষ্ঠপোষকদের সহায়তার উপর নির্ভরশীল। কোন প্রতিষ্ঠান এই আয়োজনের যে কোন অংশের সহযোগী, পৃষ্ঠপোষোক, সহ-আয়োজক বা স্পন্সর হতে চাইলে এসপিএসবির (info@spsb.org)  সঙ্গে যোগাযোগ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

 

আলোক দিবসের আহবান

আলো নিয়ে এই আয়োজন শুধু আমাদের নয়, আলোর ভুবনের প্রতিটি মানুষের। তাই আমরা আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি ১৬ মে আন্তর্জাতিক আলোক দিবস উদযাপনে অংশ নিতে। সেজন্য আপনি যেমন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন, তেমনি নিজেও উদ্যোগী হতে পারেন দিবসটি উদযাপনে কোন কিছু করতে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করতে পারেন আলোর এক্সপেরিমেন্টের সেশন আলোর দ্যুতি, আলোচনা করতে পারেন আলো নিয়ে, ছোট করে আয়োজন করতে পারেন কুইজ প্রতিযোগিতা অথবা এমন কোনকিছু। এজন্য একাডেমিক কোন সহায়তার প্রয়োজন হলে আমরা সানন্দে থাকব আপনার পাশে, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

আমরা মনে করি, অন্ধকারের সঙ্গে লড়াই করে জেতা যায় না। অন্ধকারকে দূর করতে হলে আলো জ্বালাতে হয়। আন্তর্জাতিক আলোক দিবস উপলক্ষে আপনাদের সবার কাছে আমাদের আহবান, আসুন অন্ধকারকে দূর করতে আমাদের চারপাশে আলো জ্বালি। আমাদের সবার জীবন আলোকিত হোক।

ধন্যবাদ।

 

মুনির হাসান

বাংলাদেশ ন্যাশনাল নোড, আন্তর্জাতিক আলোক দিবস ২০২০

সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি)

প্রধান, যুব কর্মসূচি, প্রথম আলো

সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি

 

প্রয়োজনে যোগাযোগ: মাহমুদ মীম (+880160204045), সমন্বয়ক, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি।

 

বাংলা  ।  English