বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড (বিডিজেএসও)
বাংলাদেশ ২০১৩ সালে এসপিএসবির উদ্যোগে ইন্টারন্যাশনাল জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড (আইজেএসও)-র সদস্যপদ লাভ করে। সারা পৃথিবীর স্কুলপর্যায়ের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের খুঁজে বের করতে এবং তাদের বিজ্ঞানে উৎসাহী করে তুলতে প্রতিবছর আয়োজিত হয় আইজেএসও। এর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি ক্ষেত্র হিসেবে আইজেএসও কাজ করে। আইজেএসওতে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ দল নির্বাচনের উদ্দেশ্যে আয়োজিত হয় বিডিজেএসও।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ) ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি)-এর যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মত বিডিজেএসও আয়োজিত হয়। বিডিজেএসওর কয়েক ধাপের এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আইজেএসও দল গঠন করা হয়।
২০১৫ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার টিচার্স ট্রেইনিং কলেজে আয়োজিত বিডিজেএসওতে সারাদেশের ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণির প্রায় ৩৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। শিক্ষার্থীরা দুই ঘন্টার একটি পরীক্ষাপর্বে অংশ নেয়। পরীক্ষার পরে অনুষ্ঠিত হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব, অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন আলোচনা পর্ব এবং সবশেষে সমাপনী পর্ব। এই পর্বগুলোতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিএফএফের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী, এসপিএসবির সহসভাপতি মুনির হাসান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের কয়েকজন বিশিষ্ট শিক্ষক। বিডিজেএসওর পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে ৪৬ জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ২৯-৩১ আগস্ট ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় ১ম বিডিজেএসও ক্যাম্প—২০১৫। ক্যাম্পে তাদেরকে আইজেএসওর প্রস্তুতি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয় এবং একাডেমিক ক্লাসের মাধ্যমে আইজেএসওর জন্য প্রস্তুত করা হয়।
ক্যাম্পের সেরা দশজন পারফর্মার নিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখে এসপিএসবির অফিসে একটি টিম সিলেকশন টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষা, ক্যাম্প এবং বিডিজেএসওর পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে গঠন করা হয় ১ম বাংলাদেশ আইজেএসও দল। এই দলটিকে নিয়ে আইজেএসও টিম ক্যাম্প নামে আরেকটি ক্যাম্প করা হয়। এই ক্যাম্পে তাদেরকে আইজেএসওর জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ক্যাম্পে একাডেমিক ক্লাসের পাশাপাশি ল্যাবের দক্ষতা বৃদ্ধির উপরেও গুরুত্ব দেয়া হয়।