বর্তমান বিশ্বে এগিয়ে যেতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নতুন প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। আর সেজন্য দরকার অলিম্পিয়াডের মতো আন্তর্জাতিক আয়োজন সমূহে দেশের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ। ১২ আগস্ট শনিবার ঢাকায় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী আল–আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ৩য় বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের বিভিন্ন পর্বে এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন শিক্ষাবিদগণ।

চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অনুষ্ঠেয় ১৪তম আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ দলের সদস্যদের নির্বাচনের লক্ষ্যে এ বছর সারা দেশে অনুষ্ঠিত ৯টি আঞ্চলিক ও একটি অনলাইন পর্বের বিজীয়দের নিয়ে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন উদ্বোধন করেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: হাবীবুর রহমান।

 

আঞ্চলিক পর্বে মোট ৫ হাজার ৫০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে বিজয়ী ৪৮১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে নিয়ে আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে এর জাতীয় পর্ব। উদ্বোধনের পর শিক্ষার্থীরা দেড়ঘন্টার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। মধ্য বিরতির পর শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদগণ। এরপর সমাপনী পর্বে তিনটি ক্যাটাগরিতে মোট ৫২জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

এদের নিয়ে আগামী ১৭-১৯ আগস্ট ঢাকায় ক্যাম্পের মাধ্যমে নেদারল্যান্ডের জন্য ৬ সদস্যের বাংলাদেশ দল গঠন করা হবে।

অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. রেজাউর রহমান, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক আলহাজ্জ আবদুল মালেক মোল্লা, উপ–ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী তউহীদ উল আলম, বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী, বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী ও জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের আহবায়ক মুনির হাসানসহ দেশবরেণ্য গণিতবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকরা।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি ও বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এই অলিম্পিয়াডটি পৃষ্ঠপোষকতা করছে আল–আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

 

Published on Bigganprojukti.com