কোষ
ঢাকা শহরে কী বিশাল বিশাল বিল্ডিং তাই না?এই এত্ত বড় বড় ভবন গুলো তৈরি কিন্তু ছোট ছোট ইট দিয়ে যাকে আমরা বলতে পারি এই বিল্ডিং গুলোর তৈরির বা গাঠনিক একক।
ঠিক তেমনি জীব দেহ, হোক সে প্রাণি অথবা উদ্ভিদ দেহ,সব তৈরি হয়েছে খুব ছোট ছোট কিছু একক দিয়ে যাকে বলা হয় কোষ।
কোষের বৈশিষ্ট্যঃ
⦁ প্রাণ থাকার জন্য দরকারি সব উপাদান থাকতে হবে।
⦁ সুনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে উঠা বা বৃদ্ধির ক্ষমতা থাকতে হবে।
⦁ নিজের প্রয়োজনীয় অঙ্গানু বা উপাদান ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম হতে হবে।
⦁ পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা থাকতে হবে।
⦁ নিজের প্রতিরুপ সৃষ্টি করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
কোষের উপাদানঃ
কোষের প্রকারভেদঃ
অবস্থান ও কাজ ভেদে কোষ দুই রকমঃ
১)দেহকোষ এবং
২)জনন কোষ
নিউক্লিয়াসের গঠন ভেদে দুই রকমঃ
১)আদি কোষ এবং
২)প্রকৃত কোষ
আদিকোষের গঠন সহজ হলেও বাকি কোষ গুলোর গঠন খুবই জটিল এবং তারা জটিল সব কাজ সম্পন্ন করে থাকে।
কাজ ভেদে আকারেরও তারতম্য দেখা যায়।সাধারণত অতি আণুবীক্ষণিক
হলেও বড় কোষও রয়েছে যা খালি চোখেই দেখা যায়, যেমনঃ পাখির ডিম। আর সবচেয়ে বড় কোষ হলো উট পাখির ডিম।
সাধারনত দেহকোষ মাইটোসিস প্রক্রিয়ার সাহায্যে বিভাজিত হয়ে সংখ্যাবৃদ্ধি করে, কিন্তু জনন কোষে হয় মিয়োসিস। মাইটোসিস এ ক্রোমোজমের সংখ্যা ঠিক থাকে কিন্তু মিয়োসিসে হয়ে যায় অর্ধেক।
মাইটোসিস এবং মিয়োসিস ছাড়াও আরেক প্রকার কোষ বিভাজন আছে যা নিম্ন শ্রেণীর জীবে হয়ে থাকে।
ক্রোমোজোম নিউক্লিয়াসের উপাদান যা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যায় থেকে নির্দিষ্ট প্রজাতির প্রাণি বা উদ্ভিদ কে নির্দেশ করে। ক্রোমোজমের প্রধান উপাদান হচ্ছে DNA।
একই ভ্রূণীয় স্তর থেকে তৈরি, একই সাথে অবস্থানরত এবং একইরকম কাজ করে এমন কোষ গুচ্ছকে বলা হয় টিস্যু।বহুকোষী জীবে টিস্যু তৈরির প্রধান কারণ হচ্ছে কোষের শ্রমবিভাগ।
একই কাজ সম্পন্ন করা টিস্যুগুচ্ছ নিয়ে তৈরি হয় টিস্যুতন্ত্র। যেমনঃ স্নায়ুতন্ত্র।অনেক স্নায়ুকোষ মিলে স্নায়ুতন্ত্র গঠন করে।
কয়েকটি টিস্যুতন্ত্র মিলিত হয়ে একেকটি অঙ্গ গঠন করে।আবার একই কাজের সাথে জড়িত অঙ্গগুলোকে একসাথে বলে তন্ত্র।
যেমন- পরিপাকের সাথে যুক্ত সকল অঙ্গকে একসাথে পরিপাকতন্ত্র বলে। এভাবে ছোট্ট ছোট্ট কোষ দিয়ে বিশাল বিশাল প্রাণি, উদ্ভিদদেহ গড়ে উঠে।
-রুমানা ইসলাম রানী
শিক্ষার্থী, কেমিস্ট্রি, ঢাবি।