৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার বিকেল ৩টায় বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আলোর ঝিলিক (Spark of Light) নামে আলোর বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টের উপর কর্মশালার প্রথম পর্বটি। আন্তর্জাতিক আলোর বছরের আয়োজনের অংশ হিসেবে এই কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়।
অনলাইনে নিবন্ধনের পর নির্বাচিত ৩০ জন স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থী এই আয়োজনে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই আয়োজনে হাতেকলমে দেখানো হয়েছে আলো নিয়ে মজার সব পরীক্ষা। প্রতিফলন, প্রতিসরণ, বিক্ষেপণ, পোলারায়ন, ব্যতিচারসহ আলোর নানা ধর্ম বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বুঝানো হয়েছে। পেরিস্কোপ, ক্যালিডাইস্কোপ, লেজার, অপটিক্যাল ফাইবার, নিউটনের রিং, বর্ণালী, প্রিজমসহ মজার সব উপকরণের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে আলোর বিভিন্ন ধর্ম এবং বৈশিষ্ট্য। প্রতিটি এক্সপেরিমেন্টের পেছনের বিজ্ঞানটাও সাথে সাথে ব্যাখ্যা করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের কাছে। এক্সপেরিমেন্টগুলি দেখানোর জন্য ব্যাবহার করা হয়েছে সহজলভ্য সব উপকরণ, যাতে শিক্ষার্থীরা বাসায় বসেই নিজেরা পরীক্ষাগুলি করে দেখতে পারে।
আলো এবং আলোক-প্রযুক্তিগুলি কীভাবে মানুষের জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করেছে, জীবনকে সহজ করেছে, সেটা নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা, এবং কীভাবে ভবিষ্যতে আরো ব্যাপক মাত্রায় অবদান রাখতে পারে সে বিষয়ে মানুষকে জানানোর উদ্দেশে জাতিসংঘ ২০১৫ সালকে আন্তর্জাতিক আলো এবং আলোক-প্রযুক্তি বছর হিসেবে ঘোষণা করেছে। সারা পৃথিবীতে ৮৫টার বেশি দেশে ১০০টার বেশি সংস্থা ইউনেস্কোর সাথে কাজ করছে ২০১৫কে আলোর বছর হিসেবে উদযাপনের কাজে। বাংলাদেশে আলোর বছর উদযাপনের সমন্বয়কের কাজ করছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি।