Skip to content

Maqsudul Alam Science Laboratory

 

আমাদের বিজ্ঞানাগার

বিজ্ঞান আসলে শুধু বইয়ে পড়ার বিষয় নয়, সত্যিকার বিজ্ঞান হল নিজের হাতে পরীক্ষা করে দেখা। কিন্তু স্কুলে থাকতে বিজ্ঞানাগার না থাকায় বা সুযোগ না পাওয়ায় অনেক সময় বিজ্ঞানকেই পড়তে হয় দৈববাণীর মত। তাই শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানাগারের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই এ প্রয়াস।

বিজ্ঞানাগারটি হবে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত, বইয়ের পাতায় পড়া বিষয়গুলো যেমন সেখানে হাতে কলমে করে দেখবে তারা, সাথে সাথে নতুন কিছু আবিষ্কারের জন্য করতে পারবে ইচ্ছেমত পরীক্ষা -নিরীক্ষা। বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমের নামের বিজ্ঞানাগারে হাতে কলমে বিজ্ঞান আর গবেষণা শিখবে আমাদের ভবিষ্যত মাকসুদুল আলমরা।

 

যাদের জন্য

মাকসুদুল আলম বিজ্ঞনাগার মূলত মাধ্যমিক বা তার নিচের শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য। স্কুলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত নবম শ্রেণিতে ওঠার পরই বিজ্ঞানাগারে যাওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু এখানে শিক্ষার্থীরা তার আগেই বিজ্ঞানাগারের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।

মূলত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাই এই বিজ্ঞানাগার ব্যবহার করবে, তবে বিশেষ ক্ষেত্রে উচ্চ-মাধ্যমিক বা প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও এটি ব্যবহার করতে পারবে।  এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে হাতে কলমে বিজ্ঞানকে শেখার কিছু সুযোগ।

একই সঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা/অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে যাওয়া বাংলাদেশ দল প্রস্তুতির জন্য এই বিজ্ঞানাগার ব্যবহার করবে।

 

 

বিজ্ঞানাগারের সুবিধাসমূহ

যে কেউ এখানে পছন্দ মত এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবে।

স্কুলের সিলেবাস অনুযায়ী থাকবে ব্যবহারিক কোর্স।

পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং ইলেক্ট্রনিক্সের উপর বিভিন্ন বয়সের জন্য থাকবে আলাদা সার্টিফিকেইট কোর্স।

বিজ্ঞান প্রকল্প তৈরি করার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা।

আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াড/প্রতিযোগিতার ব্যবহারিকের প্রস্তুতির সুবিধা।

 

অংশ হতে পারেন আপনিও

এমন একটা বিজ্ঞানাগারের কথা হয়ত আপনিও ভেবেছেন বহুবার। এবার সুযোগ আপনারও। বিজ্ঞানাগারটাকে গড়ে তুলতে আপনিও পারেন সহযোগিতা করতে। যেভাবে করতে পারেন:

১. বিজ্ঞানাগার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির একটা বা কয়েকটা আপনি কিনে দিতে পারেন অথবা কেনার জন্য টাকা দিতে পারেন।

২. বিজ্ঞানাগারের জন্য দিতে পারেন আপনার পরামর্শ বা সরাসরি কিছু কাজও করে দিতে পারেন।

৩. আপনার বাসায় হয়ত এমন কিছু পরে আছে যা কাজে লাগতে পারে বিজ্ঞানাগারের জন্য, যেমন একটা বুকশেলফ বা কতগুলো বিজ্ঞানের বই, অথবা কম্পিউটার, দিতে পারেন সেগুলোও।

৪. আপনি যদি থাকেন দেশের বাইরে, তাহলেও আপনি সহযোগিতা করতে পারেন। আপনি ল্যাবের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু যন্ত্রপাতি বা কিছু বই জোগাড় করে পাঠাতে পারেন। অথবা ওগুলো কেনার জন্য কিছু টাকা পাঠাতে পারেন।

 

বিজ্ঞানাগার ব্যবহারের সুযোগ

বিজ্ঞানাগারটি যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে। এজন্য প্রথমে সদস্যপদ গ্রহণ করতে হবে।

সপ্তাহের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিজ্ঞানাগারটি খোলা থাকবে।